‘জেমস বন্ড’ সিরিজের মিস মানিপেনির কথা মনে আছে? এই সিরিজের ছবিগুলোতে বন্ড এবং মানিপেনির মধ্যে কিছুটা রোমান্টিক সম্পর্কের অবতারণা করা হলেও মানিপেনি মূলত জেমস বন্ডের বস এম-এর ব্যক্তিগত সহকারী। সেই ‘মানিপেনি’ ছদ্মনামে ডিজিটাল সহকারী তৈরি করছে ফেসবুক—এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে মাস খানেক আগে। তা যে শুধুই গুজব ছিল না, তার প্রমাণ মেলে ফেসবুকের হেড অব মেসেজিং প্রোডাক্ট ডেভিড মার্কাসের ফেসবুক পাতায়। বুধবারে তিনি লেখেন, ‘আজ আমরা “এম” নামের নতুন একটি সেবার পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু করছি। ফেসবুক মেসেঞ্জারে ব্যক্তিগত সহকারীর ভূমিকায় এম মূলত আপনার হয়ে নানা কাজ করবে এবং তথ্য খুঁজে দেবে।’
অন্যান্য ডিজিটাল সহকারীর সঙ্গে এমের পার্থক্য, এটি শুধু তথ্য খুঁজবেই না, কাজও করে দেবে। ডেভিড মার্কাসের ভাষায়, ‘এটা পণ্য কিনবে, প্রিয়জনকে উপহার পাঠাবে, রেস্তোরাঁ খুঁজে দেবে কিংবা ভ্রমণের বন্দোবস্ত করবে।’
স্মার্টফোনভিত্তিক ডিজিটাল সহকারী তৈরিতে অ্যাপল, মাইক্রোসফট এবং গুগল বেশ আগে থেকেই কাজ করছে। সে প্রতিযোগিতায় এবার যোগ দিল ফেসবুক। তবে ফেসবুকের মূল অ্যাপ কিংবা ওয়েবসাইটে নয়, বরং এম থাকছে তাৎক্ষণিক বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপ মেসেঞ্জারের একটি সেবা হিসেবে। সিরি, করটানা কিংবা গুগল নাউয়ের নেপথ্যে কাজ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। ফেসবুকের এমের বেলাতেও তাই, তবে সবকিছুর তত্ত্বাবধানে একদল মানুষ কাজ করবে। যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় উত্তর মিলবে না, রক্ত-মাংসের বাস্তব মানুষ সেই কাজগুলো করে দেবে। এ জন্য ফেসবুকের দরকার পড়বে বিশাল এক কর্মীবাহিনীর—হয়তো হাজার হাজার নতুন কর্মী নিয়োগ দিতে হবে। তবে ফেসবুকের এম মানুষের কাজের ধরন থেকে শিখে পরবর্তী সময়ে নিজেই সব কাজ করতে পারবে বলেই প্রতিষ্ঠানটির বিশ্বাস। এমের পরীক্ষামূলক সংস্করণ আপাতত যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রানসিসকোতে সীমাবদ্ধ আছে। ধীরে ধীরে আরও ব্যবহারকারী এম ব্যবহারের সুযোগ পাবে। মানুষ তখন নিজের গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য আরও বেশি সময় পাবে, সে কাজে আরও মনোযোগী হতে পারবে—এমনটাই মনে করে ফেসবুক।
0 comments:
Post a Comment